যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ৫ থেকে ৮ মিলিয়ন টিকা দিচ্ছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এই টিকা বাংলাদেশে যাচ্ছে।
এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্হ্য বিষয়ক কংগ্রেস কমিটিতে পাশ হয়েছে। কমিটি দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলোর জনগণের জন্য শুভেচ্ছার নিদর্শন স্বরুপ যে ২৫ মিলিয়ন ডোজ টিকা বরাদ্দ করেছে সেখান থেকে বাংলাদেশের জন্য উপরোক্ত বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
ডন পত্রিকার সুত্রানুসারে এই উপহারে ফাইজার, অ্যাস্ট্রোজেন এবং জনসন এন্ড জনসন এর টিকা থাকছে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৭৫ শতাংশ ভ্যাক্সিন বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে যেসব দেশ ভ্যাক্সিনে পিছিয়ে পড়েছে, সেসব দেশে পাঠাচ্ছে।
স্থানীয় সময় শনিবার বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে দেশটির সরকার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া থেকে এক বিমান ভর্তি করোনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত স্বাস্হ্য সামগ্রী পাঠাচ্ছে।

বাংলাদেশ সরকার দেশের মানুষকে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে আমদানী করা টিকা দিয়ে জোরেসোরে টিকা প্রদান শুরু করে। পরবর্তীতে ভারতের করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করায় তারা চুক্তির বাকি টিকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। নিরূপায় হয়ে বাংলাদেশ রাশিয়া, চীনসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছেও আনুষ্ঠানিকভাবে টিকা চায়। অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বন্ধুত্বের বারতা এল।